১৯৭১ সালের স্বাধীন বাংলাদেশের পর পরই টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার বেতবাড়ী গ্রামের জনাব হোসেন আলী সরকারের উদ্দ্যেগে এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলে উত্তর টাঙ্গাইল তথা টাঙ্গাইল সদর উপজেলা সদর হইতে ১২ (বার) কিলোমিটার উত্তরে একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিতি হইয়াছে।
নারী শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। এ কথাটি অনুধাবন করেই সর্ব প্রথম একটি নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যত্যয় করেন বেতবাড়ী গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব মোঃ হোসেন আলী সরকার। মগড়া এলাকা হইতে চতুর্দিকে ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার ব্যাস-এ তখনও কোন নারী শিক্ষার জন্য কোন বিদ্যালয় ছিল না। পুরো গ্রামবাসী জনাব মোঃ হোসেন আলী সরকার এবং জনাব মোঃ ইউসুফ আলীর প্রচেষ্টাকে সাদরে গ্রহণ করেন এবং সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং শুরম্ন হয় কর্ম পরিকল্পনা (১৯৭২ সাল হইতে)। গ্রামের আপামর জনতার এমন একটি উদ্দ্যেগের প্রতি পার্শ্ববর্তী গ্রাম জোকা, বিল জোকা, কুইজবাড়ী, ঢোলকান, যোগিপাল এবং মগড়াবাসীর জনতাসহ সমাজসেবীরা তাদের দু’হাত বাড়িয়ে দেন। যার ফলশ্রম্নতিতে বেতবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মরহুম আঃ বাসেদ তালুকদার প্রশাসনিক তদারকি করে ভবানীনাথ পাল, আব্দুল কাদের (বীর মুক্তিযোদ্ধা), রবীন্দ্রনাথ পাল, হরেন্দ্রনাথ পাল, যতীন্দ্রনাথ পাল, মিজানুর রহমান, বাহাজ উদ্দিন, আঃ বাসেদ মেম্বার, এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেল মুকুল, আমজাদ হোসেন মাস্টার, আলী মাস্টার, মোঃ হাবিবুর রহমান, আঃ রাজ্জাক মাস্টার, মোঃ মোসলেম উদ্দিন মিয়া, আঃ হালিম, রেহাতুলস্নাহ মৌলভী, মতিউর রহমান এবং এ্যাডভোকেট ইনসান আলী প্রমুখসহ আরও জানা ও অজানা উৎসাহী জগণের প্রচেষ্টায় ০১ জানুয়ারি ১৯৭৩ সালে বেতবাড়ী মৌজায় ২৩ নং দাগে একটি মাত্র টিনের ঘর এবং বেতবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’একটি কক্ষ পাঠদান শুরু হয়। ০১ জানুয়ারি ১৯৭৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রথম স্বীকৃতি পায়। পর্যায়ক্রমে ১৯৮৯ ইং সালে প্রথম এস.এস.সি পরীÿায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাধ্যমিক ধাপ শুরম্ন হয়। শুরম্নতে শ্রী মিনা রাণী আইচ (প্রধান শিÿক)-এর দায়িত্ব পালন করেন, লুৎফুন্নেছা, ফরিদা ইয়াসমিন, দিপালী রানী পাল ও মতিউর রহমানসহ মাত্র পাঁচজন শিÿক নিয়ে এর যাত্রা শুরম্ন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিÿক জনাব মোঃ শরীফুল ইসলামসহ মোট ষোল জন শিÿক/কর্মচারী কর্মরত আছেন।
১০৭ শতাংশ জমি নিয়ে উপর একটি দোতলা ভবনের ছয়টি কÿ, তিনটি টিনসেড ঘরে মোট ১২ টি কÿÿ পাঁচটি শ্রেণির আটটি শাখায় শিÿাদান কার্যক্রম চালু আছে। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিÿা ও মানবিক শাখা এবং কৃষি, হিন্দু ধর্ম বিষয় অনুমোদিত বিদ্যালয়টি বহুমুখী শিÿা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানলাভ করেছে। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস